ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা গ্রাহকের অর্থের উৎস জানাতে হবে

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা গ্রাহকের অর্থের উৎস জানাতে হবে

বিশেষ সংবাদদাতা

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটি বলেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা যে পরিমাণ আমানত রাখবে তার উৎস সম্পর্কে জানাতে হবে। একই সাথে ওই অর্থ তাদের আয়ের সাথে সঙ্গতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এসব নির্দেশনা পরিপালন করতে গতকাল বিএফআইইউ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

বিএফআইইউ থেকে জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা আমানত রাখবেন ওই সব গ্রাহকের পেশার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। গ্রাহকের পেশা, এলাকার সাথে মিল রেখে মানিলন্ডারিংয়ের ঝুঁকির মাত্রা নিরুপণ করতে হবে। গ্রাহক উচ্চ ঝুঁকির হলে নিয়মিতভাবে তদারকি করতে হবে। প্রতিটি শাখায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শাখার ঝুঁকিব্যবস্থাপনার মানদণ্ড নির্ণয় করতে হবে। কোনো শাখার প্রাপ্ত স্কোর ৪০ এর নিচে হলে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ওই শাখার মান অসন্তোষজনক ধরতে হবে। ৪০ এর বেশি থেকে ৫৫ হলে প্রান্তিক পর্যায়ের, ৫৫ এর বেশি থেকে ৭০ হলে মোটামমুটি ভালো, ৭০ এর বেশি থেকে ৯০ হলে সন্তোষজনক ও ১০ এর বেশি থেকে ১০০ স্কোর হলে ওই শাখা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে গণ্য হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দেয়া বিএফআইউয়ের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেনামে, ছদ্মনামে বা কেবল সংখ্যাযুক্ত কোনো গ্রাহকের হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলেশনের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানের কোনো হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না। কোনো গ্রাহক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখলে সে অর্থের উৎস জানাতে হবে। একই সাধে গ্রাহকের পেশার আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শেয়ার থাকলেই ওই হিসাবকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব বলে ধরে নিতে হবে। হিসাবের সুবিধাভোগী কে তা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে হবে। ব্যক্তি হিসাবের ক্ষেত্রে অর্থের জোগানদার হিসাবধারী ব্যতীত অন্য কেউ হলে অর্থের জোগানদাতার কেওয়াইসি বা গ্রাহকের সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিএফআইইউয়ের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুস্মরণীয় নির্দেশনাগুলো নীতিমালা আকারে এতে দেয়া হয়েছে। এর আগে ওই নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্যও জারি করা হয়েছিল।

 

অর্থ বাণিজ্য