২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য ছয়টি প্রধান চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, রিজার্ভ বাড়ানো, অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ও আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেটে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে পাঁচ ধরনের কৌশল নেওয়া হয়। এগুলো হলো- বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শিল্প ও ব্যবসায় কম সুদে ঋণ প্রদান, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ, মূল্যস্ফীতিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বাজারে পর্যাপ্ত মুদ্রা সরবরাহ নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের জন্য বাজেটে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এতে অর্থনীতিতে যে আঘাত এসেছে সেটিও এবারের বাজেটে অকপটে বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এগুলো মোকাবিলা করার কৌশলের কথাও বলেছেন। তবে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, বাজেট ঘোষণা করা ও হিসাব মেলানো যতটা সহজ হয়েছে, বাস্তবায়ন ততটা সহজ হবে না। টেবিলে বসে হিসাব মেলানোর সঙ্গে বর্তমানের কঠিন বাস্তবতা মিলবে না।
বাজেটে বলা হয়, বৈদেশিক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। এজন্য রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৭০টি সবজি ও ফল রপ্তানি হচ্ছে। এতে বছরে ১০০ কোটি ডলার আয় হচ্ছে। এটি আরও বাড়ানো হবে। বিস্তারিত