মধ্যরাতে কেন এত লোডশেডিং চলমান তাপপ্রবাহে গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে গরমের তেজ। রাত ১০টার পরও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তি থাকে; কিন্তু কমে যায় উৎপাদন।

মধ্যরাতে কেন এত লোডশেডিং চলমান তাপপ্রবাহে গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে গরমের তেজ। রাত ১০টার পরও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তি থাকে; কিন্তু কমে যায় উৎপাদন।

দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দিন ও রাতে গরমের অনুভূতি আলাদা করার উপায় নেই। গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে গরমের তেজ। এতে মধ্যরাতের পরও বিদ্যুতের চাহিদা তেমন একটা কমছে না; কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন রাত ১০টার পর থেকে কিছুটা কমতে থাকে। গত কয়েক দিন সর্বোচ্চ লোডশেডিং হচ্ছে মধ্যরাতের পর। এই পরিস্থিতি সারা দেশে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরে বেশি।

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা লাইজু বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১২টায় ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘণ্টা পর আসে। ঘুম কিছুটা গভীর হওয়ার আগে দুইটার দিকে আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। চার দিন ধরে এমন চলছে। ঘুমাতে পারছে না কেউ। বাচ্চাদের সকালে স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে।

রাজধানীর এই বাসিন্দার চেয়েও লোডশেডিংয়ে বেশি ভুগছেন গ্রামের মানুষ। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা থাকা রাজশাহী, নীলফামারী, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গায় লোডশেডিং ভোগান্তি তৈরি করেছে। রাজশাহী নগরের বুধপাড়া এলাকার রহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। এ গরমে বিদ্যুৎ চলে গেলে কষ্ট বাড়ে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বলছে, রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ লোডশেডিং হচ্ছে। রাত ১০টার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায় গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াট। স্বাভাবিক সময়ে রাতে বিদ্যুতের চাহিদা কমতে থাকে; কিন্তু কয়েক দিন ধরে এটি তেমন একটা কমছে না। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ানো যাচ্ছে না, তাই লোডশেডিং বেড়ে গেছে।বিস্তারিত

জাতীয়