প্রতিবাদ সমাবেশে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বৈঠক হতে পারে বিএনপির সঙ্গে

প্রতিবাদ সমাবেশে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বৈঠক হতে পারে বিএনপির সঙ্গে

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আপনারা আসুন- গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। তিনি বলেন, সংবিধানের মধ্য থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সব রাজনৈতিক দলের জন্য আলোচনার দরজা খোলা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে আমির হোসেন আমু এ আহ্বান জানান। এ সমাবেশের আয়োজন করে ১৪ দল।

আমির হোসেন আমু বলেন, দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনায় রাজি হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যে কোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে আমির হোসেন আমু বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। বোগল বাজানোর কোনো সুযোগ নেই, বাহবা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ঘোলাপানিতে মাছ শিকারেরও কোনো সুযোগ নেই। বিভিন্ন

ধরনের ফন্দিফিকির আপনারা অতীতেও করেছেন, এখনো সেই চেষ্টা করছেন। আমরা বলতে চাই, বিগত সময়ে জাতিসংঘ থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। আজকেও বলতে চাই, এ ধরনের ঘোরাঘুরি না করে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। কোথায় ফারাক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা কোথায় এবং কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে- অন্য কোনো পথে নয়।

হুশিয়ারি দিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চান, অসাংবিধানিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চান, অসাংবিধানিক কোনো জিনিস আনতে চান, তাদের প্রতিহত করা হবে। ১৪ দল অতীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছিল, আগামী দিনেও তেমনিভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবে এবং মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি অব্যাহত রাখবে।

আমু বলেন, আজকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এই সংবিধানকে সামনে রেখে যে কোনো সমাধান এবং যে কোনো কিছু করতে আমরা প্রস্তুত। আপনারা আসুন- আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। আলোচনার দ্বার খোলা।

আগেও নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, অবরোধ করে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিলেন। এখন বিদেশিদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য-সহযোগিতার কথা বলছেন। ভিসানীতিকে আশ্রয় করে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন ধরনের ফন্দিফিকির আপনারা অতীতেও করেছেন, আজকেও করার চেষ্টা করছেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়। মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলব- সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন। সভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

রাজনীতি