রাজধানী রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের হলের মঞ্চে জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে জামাতের সমাবেশ।
শনিবারের এ সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানী রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করে দলটির নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে মিলনায়তন। মিলনায়তনের বাইরেও হাজার হাজার নেতা-কর্মী অবস্থায় নিয়েছেন।
আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুলাহ মোহাম্মদ তাহের। সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল।
সমাবেশে আরো উপস্থিত আছেন- বিশেষ অতিথি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আ. হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আ. রহমান মুসা, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর আ. জব্বার, ঢাকা মহানগরীর উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, ড. আ. মান্নান।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশে করছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
এর আগে ৫ জুন সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে যান জামায়াত ইসলামীর সমর্থিত আইনজীবীরা। ডিএমপিতে প্রবেশ করার আগে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২ ঘণ্টা পর তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
৫ জুন কর্মদিবস থাকার কারণে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি বলে জানায় পুলিশ। তাই এবার ছুটির দিন শনিবার দেখে তারা অনুমতির আবেদন করে। পরে এখানে করার অনুমতি মেলে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি পায় দলটি। এরপর থেকে দলটিকে কোনো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।