দেশের মানুষের কাঁধে ঋণের বোঝা বাড়ছে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫ হাজার ২৫২ টাকা। ফলে আজ যে শিশুটি জন্ম নেবে, তার মাথায়ও সমপরিমাণ ঋণের দায় চাপবে। গত এক বছরে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৬৫২ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা এবং সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত মিলিয়ে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। এই ঋণ জিডিপির ৩৪ শতাংশেরও বেশি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যানুসারে, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ৫ হাজার ২৫২ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৬৫২ টাকা।
এদিকে আগামী অর্থবছরের জন্য আরও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে বিদেশি ঋণ ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা। ফলে মাথাপিছু ঋণের স্থিতি কমপক্ষে আরও ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা করে বাড়বে। সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে যে ঋণ নেওয়া হয়, তার বিপরীতে সরকারকে বছরে ১০ শতাংশের বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ কারণে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার।বিস্তারিত