বাংলাদেশ নিয়ে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাখ্যান করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৯২ মার্কিন নাগরিক।
তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে এ নিয়ে একটি পালটা আবেদনও পাঠিয়েছেন। ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির দাবি, ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের সংখ্যালঘু নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও অপরাধমূলক কোনো তথ্য না থাকায় তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং গ্রহণযোগ্য নয়।
গত ১৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির ছয় কংগ্রেসম্যান সংখ্যালঘু সংখ্যা কমে যাওয়া ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সংখ্যা কমে আসার তথ্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, অতিরঞ্জন ও এক পেশে উল্লেখ করেছেন দেশটিতে বসবাসকারী ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশি।
তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে প্রকৃতপক্ষে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনকারী বিএনপি-জামায়াতকে আড়াল করা হয়েছে। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে অর্থের বিনিময়ে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বাংলাদেশের জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ২০২১-২২ জনশুমারি অনুযায়ী হিন্দু জনগোষ্ঠী ৬.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা ১৯৯১ সালের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
চিঠি দেওয়া ১৯২ জনের মধ্যে রয়েছেন-ড. নুরুন নবী, অধ্যাপক এবিএম নাসির, আবু আহমেদ মুসা, রানা হাসান মাহমুদ, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।