রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে রাজনীতি ক্রমশ চলে যাচ্ছে অন্যদের দখলে।
বিশেষ করে সামজের নানা স্তরে আমলাতন্ত্র প্রবলভাবে জেঁকে বসায় অনেকটাই পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের প্রকৃত রাজনীতিকরা। সংসদে, এমনকি সংসদের বাইরে এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হলেও কার্যত কোনো কাজ হচ্ছে না।
তারা বলেন, রাজনীতিবিদরাও তাদের হাত থেকে রাজনীতির বাঁধন আলগা হওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী। একে অপরের প্রতি আস্থাহীনতা, দূরত্ব, সন্দেহ-অবিশ্বাস, নেতিবাচক মনোভাব, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এক টেবিলে বসতে না পারা-রাজনীতিবিদদের অবস্থানকে দিন দিন তলানিতে নিয়ে গেছে। যার সুযোগ নিচ্ছে অন্য পেশার মানুষ এবং সুবিধাভোগী-সুযোগসন্ধানীরা।
এমনকি এর সুযোগ নিচ্ছে বিদেশি রাষ্ট্র, কূটনীতিবিদ, দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও। শনিবার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বললে এসব বিষয় উঠে আসে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রবীণ রাজনীতিকরা মনে করেন, নেতারা যেদিন থেকে জনগণকে ছেড়ে দিয়েছে সেদিন থেকেই রাজনীতি তাদের হাতের বাইরে যেতে শুরু করেছে। তারা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য যখন ভোটারের ভোট প্রয়োজন ছিল, তখন রাজনীতি নেতাদের হাতেই ছিল। কিন্তু যে সময় থেকে ভোটারের প্রয়োজন ফুরিয়েছে, জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য মনোনয়নই মুখ্য হয়েছে তখন থেকেই রাজনীতি হাতছাড়া হয়েছে। এই সুযোগে অন্যরা নাক গলানোর সুযোগ পাচ্ছে। এ দলে আছেন বিদেশি কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও।
বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ রাজনীতিবিদদের হাতে আনতে হলে আগের মতো ভোটারদের কাছে যেতে হবে। তৃণমূলসহ সব পর্যায়ে জনতার সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। নির্বাচিত হওয়ার জন্য অন্য কিছু নয় ভোটারকে প্রাধান্য দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, প্রকৃত রাজনীতিবিদরা হারিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক সামরিক-বেসামরিক আমলাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং নব্য ধনিক শ্রেণি রাজনৈতিক দলে ঢুকে পড়ায় প্রকৃত রাজনীতিবিদরা এখন অনেকটাই অসহায়।বিস্তারিত