ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ দলটি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত হয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাকালে আওয়ামী লীগের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।
এ নামেই পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। পরে দলকে অসাম্প্রদায়িক আদর্শের রূপ দিতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ নামটি গ্রহণ করা হয়। দলটির এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন এবং অর্থনীতিতে চাপে থাকার বাস্তবতার মধ্যে।
সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে আওয়ামী লীগের। এ চ্যালেঞ্জ উতরে গেলে টানা চারবারের মতো সরকার গঠনের রেকর্ড গড়বে আওয়ামী লীগ।
এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনেকটা সাদামাটাভাবে পালন করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সূর্যোদয়ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন।
সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতির বক্তব্য দেবেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সব জেলা, উপজেলাসহ সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।