দুই কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত, অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। যে কোনো সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে-এমন আশঙ্কায় টাকা দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে যেসব আইনকানুন রয়েছে, তা পাচার বন্ধ এবং আগে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এসব আইন কার্যকরের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। যারা রাষ্ট্রকাঠামো নিয়ন্ত্রণে রেখে বা দখল করে অর্থ পাচার করছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে অর্থ পাচার করেছে, এমন শতাধিক ব্যক্তির নাম যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো এরা রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সুইস ব্যাংক এখন আর গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। টাকা পাচারের জন্য এটি কোনো আকর্ষণীয় জায়গা নয়। সুইস ব্যাংকে টাকা অনেক পুরোনো বিষয়। কারণ অর্থ পাচার এখন এত সহজ হয়েছে, চাইলে যে কোনো দেশে টাকা নিয়ে যাওয়া যায়। বতর্মানে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও হুন্ডি সিস্টেমে বিশ্বের অনেক দেশে আমাদের টাকা পাচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেড় কোটির মতো প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। যারা দেশে যেসব রেমিট্যান্স পাঠাতে চান, সেগুলো হুন্ডির কাছে বিক্রি করে দেন। আর হুন্ডির লোকজন পাচারকারীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা করে দেন। সমপরিমাণ টাকা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স গ্রহীতাদের পৌঁছে দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াসহ সব দেশে পৌঁছে যাচ্ছে। অর্থাৎ দেশ থেকে ব্যাপকভাবে পুঁজি পাচার হচ্ছে।বিস্তারিত