বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে কয়েক লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট।
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চের ওই খবরে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্যের মধ্যে নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে।
গত ৬ জুলাই ওই খবর প্রকাশিত হয়। টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আকস্মিকভাবে বাংলাদেশি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিক্টর মার্কোপোলোস নামের একজন গবেষক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ভিক্টর মার্কোপোলোস যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটি’র জন্য কাজ করেন।
ভিক্টর বলেন, তিনি গুগলে এসকিউএল ত্রুটি নিয়ে তথ্য খোঁজার সময় বাংলাদেশ সরকারের এই ডেটাগুলোকে (নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য) ফলাফল হিসেবে হাজির করে গুগল। তিনি এগুলো খুঁজছিলেন না বা কোনো ইচ্ছাও ছিল না তার।
বাংলাদেশ সরকারের কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো প্রকাশ পেয়েছে, তা প্রকাশ করেনি টেকক্রাঞ্চ। তবে ওই তথ্যগুলো যে ভুয়া নয় সে বিষয়ে নিশ্চিত টেকক্রাঞ্চ।
টেকক্রাঞ্চ জানিয়ছে, তারা ডেটা ফাঁসের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশের সিইআরটি, সরকারের প্রেস অফিস, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির কনস্যুলেটে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পায়নি।
মার্কোপোলোস বলেন, এই ধরনের তথ্য ব্যবহার করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ঢোকা, সেখানে পরিবর্তন অথবা অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে মুছে ফেলা যেতে পারে। জন্ম নিবন্ধন রেকর্ড যাচাইকরণ দেখার জন্যও এই তথ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রত্যেক নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় সরকার।
ইসিতে ভোটারদের ছবি, আঙুলের ছাপসহ অন্তত ৪০টির তথ্য সম্বলিত তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষিত রয়েছে। নানা ধরনের নাগরিক সেবা দিতে অর্ধ শতাধিক সংস্থার সঙ্গে ইসির চুক্তি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কয়েকটি তথ্যের ‘ভেরিফিকেশন সার্ভিস’ চালু রয়েছে।