সমবায় অধিদপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১১টি পদে কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এই নিয়োগ ঘিরে শতকোটি টাকা বাণিজ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এ চক্রের নেপথ্যে আছেন এক মন্ত্রীর ছেলে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অবৈধ নিয়োগ কমিটির অধীনে সম্পন্ন করা হয়েছে এমসিকিউ পরীক্ষা। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ বা পরিপত্রও মানা হচ্ছে না।
চক্রটি টার্গেটকৃত চাকরিপ্রার্থীর তালিকা করে তাদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ কোটি টাকা তুলেছে। আরও টাকা তোলার টার্গেট রয়েছে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু দালিলিক প্রমাণসহ অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য মিলেছে।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ১৫ মার্চ সমবায় অধিদপ্তরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১১টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এই নিয়োগের ছাড়পত্রের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২৮ জুন। এর মধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তারা মে ও জুনে চার ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে প্রাথমিক পর্যায়ে এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়েছে। এরই মধ্যে ২৮ জুনের মেয়াদ পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত বাকি ধাপগুলো শেষ করে কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ছাড়পত্রের মেয়াদ ফের বাড়ানোর সুযোগও নেই। এরপরও সিন্ডিকেট সদস্যরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ সম্পন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।বিস্তারিত