উৎসে করে সর্বনাশ আবাসনে জমি ফ্ল্যাট নিবন্ধনে বাড়ছে ২৪ থেকে ৬০ গুণ কর, বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংশ্লিষ্ট ২০ হাজার কারখানা, বেকার হতে পারেন ১ কোটি কর্মী, বাড়বে বিদেশে অর্থ পাচার

উৎসে করে সর্বনাশ আবাসনে জমি ফ্ল্যাট নিবন্ধনে বাড়ছে ২৪ থেকে ৬০ গুণ কর, বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংশ্লিষ্ট ২০ হাজার কারখানা, বেকার হতে পারেন ১ কোটি কর্মী, বাড়বে বিদেশে অর্থ পাচার

নির্বাচনের বছরে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনে উৎসে কর ২৪ গুণ একসঙ্গে বাড়ায় সর্বনাশা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দেশের আবাসন শিল্পে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই কর ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ থেকে ৬০ গুণ বেড়ে যেতে পারে। এতে আবাসন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ হাজার শিল্প কারখানা বন্ধ ও ১ কোটি মানুষ বেকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিকে সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

অতিরিক্ত এই কর আরোপ আবাসন খাতের জন্য ভয়াবহ হুমকি বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ)। গত ৬ জুলাই সংগঠনের সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভূমি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকদের এই সংগঠনটি মনে করে, জমি নিবন্ধনে অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে দেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ কমবে। পাশাপাশি অনেকেই দেশের বাইরে বাড়িঘর করতে আগ্রহী হবেন, বাড়বে বিদেশে অর্থ পাচার।

নিবন্ধনে উৎসে কর অতিরিক্ত বৃদ্ধিকে নজিরবিহীন বলে মনে করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আগে মানুষ জমিতে বিনিয়োগ লাভজনক ও নিরাপদ মনে করতেন। এখন এই অতিরিক্ত কর বৃদ্ধিতে ঢাকা বা বড় শহরে জমিতে বিনিয়োগ করা অলাভজনক মনে করবে। এ অবস্থায় জমি বেচাকেনা কমবে। এতে সরকার হারাবে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব। তারা বলেন, নির্বাচনের আগে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত আবাসন খাতের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এটি সরকারের বিরুদ্ধেও গভীর ষড়যন্ত্র।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য