রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) কেনাকাটা, পণ্য ও সেবা সংগ্রহসহ বিভিন্ন ক্রয় খাতে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজশাহী সমন্বিত দুদক কার্যালয় থেকে ২৫ জুন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের নথিপত্র চেয়ে আরএমপি পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের প্রধান সহকারী (প্রশাসন) জুলমাত হাবীবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতের কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ১৩ পৃষ্ঠার অভিযোগনামা জমা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনে। যাচাই-বাছাই শেষে সদর দপ্তর থেকে অনুসন্ধানের জন্য পাঠানো হয় দুদকের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে। রাজশাহী দুদকের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) সাজ্জাদ হোসেনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মোহা. মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, আরএমপির অভ্যন্তরীণ কেনাকাটা ছাড়াও বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সংগ্রহ, নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার একটি অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে-নির্মাণ, মেরামত সংস্কার, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা ও মেরামত, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, মোটরযানের যন্ত্রাংশ ক্রয় ও মেরামত, মনোহরীসামগ্রী ক্রয়, পুলিশের পোশাক, পুলিশ হাসপাতালের ওষুধপথ্য সরবরাহ, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ, গাড়ি ভাড়া ও প্রশিক্ষণসামগ্রী কেনাসহ ১৭টি খাতে টেন্ডার করা হয়। নিয়মানুযায়ী এসব পণ্য ও সেবা ক্রয় করার কথা আরএমপির লজিস্টিক ও ইঅ্যান্ডডি বিভাগের। তবে কমিশনারদের আস্থাভাজন হওয়ায় হাবীবই এসব নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন।বিস্তারিত