সপ্তমবারের মতো ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হচ্ছেন তাকসিম এ খান। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বৈঠকে এ বিষয়ক প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওয়াসা ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তিনজন সদস্য পুনর্নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানান। কিন্তু তাদের আপত্তির বিষয়টি আমলে না নিয়ে বোর্ড প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। বোর্ড সভার প্রস্তাবে সরকার অনুমোদন দিলে ২০২৬ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবেন তাকসিম এ খান। পাশাপাশি টানা ১৭ বছর ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে থাকার রেকর্ডও তৈরি হবে।
এক বোর্ড সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এমডি নিয়োগের নিয়ম জানতে চেয়েছিলাম। তারা কোনো নিয়ম দেখাতে চান না। তারা শুধু বর্তমান এমডির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পক্ষে কথা বলেন। তিনজন বোর্ড সদস্য এতে আপত্তি দিয়েছিলেন। তাদের আপত্তি আমলে নেয়া হয়নি।’
নতুন করে তার মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশের সমালোচনা করে ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনে তাকসিমের একাধিক দুর্নীতির মামলা চলমান। এমন অবস্থায় বিধিমোতাবেক তাকসিমের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করতে পারে না ওয়াসা বোর্ড। এটা অনৈতিক এবং দুর্নীতির সহায়ক।’
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর পাঁচ দফায় তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর তার ষষ্ঠবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন বর্তমানে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয় পৌনে ২ লাখ টাকা। তাকসিম এ খান, তার স্ত্রী ও সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।