আমরা প্রতিনিয়ত এমন এক বিশৃঙ্খল ও অরাজকতাপূর্ণ সমাজব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যা লিখে শেষ করা যাবে না। কোনটা দিয়ে শুরু করব আর কোথায় গিয়ে শেষ করব বুঝে উঠতে পারি না। পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাসহ এমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই, যেখানে অরাজকতা, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার ওপর এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা এবং দুর্ভোগ জীবনকে প্রতিনিয়ত বিষিয়ে তুলছে।
নিয়ন্ত্রণে নেই মূল্যস্ফীতি। বেঁচে থাকার জন্য অতি প্রয়োজনীয় ও জীবন ধারণের জন্য সর্বনিম্ন উপকরণটুকু যদি মেটাতে হিমশিম খেতে হয়, তাহলে এ বেঁচে থাকার অর্থ কী? খাওয়া পড়ার বাইরেও জীবন চলার জন্য নাগরিক সুবিধাসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে, যা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি বললে বোধহয় ভুল হবে না। প্রতি মুহূর্তে ভোগ করছি অন্তহীন দুর্ভোগ। ব্যাংক, বিমা, হাসপাতাল, গণপরিবহণ, অফিস-আদালতসহ এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হয়রানি বা জনদুর্ভোগের শিকার হতে হয় না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, নৈতিক মূল্যবোধের অভাবের পাশাপাশি জবাবদিহিতার অভাব। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকলে সাধারণ মানুষকে এতটা দুর্ভোগের শিকার হতে হতো না।
আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি না থাকায়, বাজেট ঘাটতি পড়ায় প্রতি মুহূর্তে অধিকাংশ পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছে। একটু শান্তির অন্বেষায় ঘরের বাইরে গিয়েও নিস্তার নেই। শুরু হলো রিকশাওয়ালার সঙ্গে খিটিমিটি। ২০ টাকার ভাড়া হাঁকছে ৪০/৫০ টাকা। নির্ধারিত কোনো মূল্য কোথাও নেই। যে যা পারছে আদায় করে নিচ্ছে। সরকারি মূল্য তালিকা অকার্যকর। রয়েছে রাস্তাঘাটের চরম দুর্গতি। হাউজিংগুলোতে হাউজিং কমিটি মাসে মাসে চাঁদা নেয়, কিন্তু এ চাঁদার টাকা দিয়ে কোথায় কী করে জানি না। এক কথায় বলতে গেলে, চাঁদার বিনিময়ে আমরা কোনো সেবা পাই না।বিস্তারিত