সংকট নিরসনের একমাত্র পন্থা হলেও শর্তের বেড়াজালে আটকা সংলাপেই সমাধান!

সংকট নিরসনের একমাত্র পন্থা হলেও শর্তের বেড়াজালে আটকা সংলাপেই সমাধান!

সংকট নিরসনে একমাত্র ভরসা আলোচনা কিংবা সংলাপ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধি দলের কেউই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো কথা বলেননি। সংবিধানের বাইরে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি, সংলাপের বিষয়েও তাদের কোনো পরামর্শ নেই। এখন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একমাত্র ভরসা আলোচনা কিংবা সংলাপ। সংবিধানের মধ্যে থেকে আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সৃষ্ট সংকট নিরসনের পথ খোলা থাকলেও বড় দুটি দলের শর্তের বেড়াজালে রাজনৈতিক ভাগ্যাকাশে জমে থাকা কালো মেঘ কাটছেই না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংলাপের পথ একেবারে বন্ধ, আবার তাও বলছে না। বাস্তবে কোনো পক্ষই নিজের উদ্যোগে সংলাপের দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। ফলে এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
বিদেশী কূটনীতিকদের সাম্প্রতিক সফরগুলোতে বিএনপির জন্য কোনো ভালো বার্তা বা সুখবর আসেনি। বরং বিদেশী প্রতিনিধি দলের সফর আগে নানা আশঙ্কার বার্তা নিয়ে সরকারের ওপর কিছুটা হলেও যে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, সফর শুরুর পর তা সম্পূর্ণভাবেই কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী মন্ত্রী, বড় সব রাজনৈতিক দলসহ নানা পর্যায়ে বৈঠক করে বিদেশী প্রতিনিধিরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার বিষয়ে মনোভাব জানার পাশাপাশি এ বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন। এমনকি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথাও বলেনি উন্নয়ন সহযোগীরা। তারা কোনো বৈঠকেই সরকারের ওপর অসাংবিধানিক কোন প্রস্তাব বা চাপ না দিয়ে, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
বিস্তারিত

জাতীয় রাজনীতি