আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমেরিকানরা এলো, চলে গেলো, বিএনপিকে দিয়ে গেলো ঘোড়ার ডিম। ইউরোপীয় ইউনিয়নও দিয়ে গেলো ঘোড়ার ডিম।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, সংসদের বিলুপ্তি হবে না, শেখ হাসিনার পদত্যাগ হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিএনপির কথা শুনেনি, তাদের কাছ থেকে বিএনপি ঘোড়ার ডিম ছাড়া কিছুই পায়নি।’
সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
কাদের বলেন, ‘ইইউ তত্ত্বাবধায়ক দিতে পারে না, সরকারের পদত্যাগ করানোরও কেউ না। ওই ক্ষমতা তাদের কেউ দেয়নি। শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুনিয়ার অন্য কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। আর বিএনপি কি মনে করেছে, তাদের কথায় শেখ হাসিনা সরে যাবে? আমরা আমেরিকানদের বলেছি, ইইউকে বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক কেউ চায় না। বিএনপি যা চেয়েছে তা কোনোদিনও হবে না। তত্ত্বাবধায়ক আদালত বাতিল করেছে, আমরা কিছুই করিনি।’
বিএনপি আইন মানে না, আদালত মানে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে যা যায়, তারা তা কখনোই মানতে চায় না। সংবিধানে যা লেখা আছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে।’
আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দল, শেখ হাসিনার দল। এই দল কারো কাছে মাথা নত করে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় বিএনপির দফা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘দফা আসলে কী? কখনো বলে এক দফা, কখনো ৩৭ দফা। তাদের নিজেদের ঠিক নেই, তারা সরকারের মেরামত চায়। মেরামত আপনাদের করতে হবে না, মেরামতের নামে আপনারা কী করছেন, খাম্বা দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাজ করছে, এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাবে। বিএনপি ঘোড়ার ডিম ছাড়া কিছুই দিতে পারবে না।’
awami
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কি দেখিয়ে ভোট চাইবেন, আপনাদের অন্তর্জালা একদিনে ১০০ সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু। আরও অনেক মেগা প্রকল্প সামনে উদ্বোধন হবে। ফখরুল বলে আওয়ামী লীগ ৩০টা আসন পাবে, আগে বলেছে ১০টা আসন পাবে। কয়েকটা আসন তিনি বাড়িয়েছেন।’
নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গায়ে পড়ে ঝগড়া করবে। ভরা কলসি নড়ে না, নড়ে খালি কলসি। বিএনপির খালি কলসি তাই নড়ে বেশি, আমাদের অর্জনের কলসি তাই নড়ে না। লাঠিসোটার দরকার নাই, পাল্টাপাল্টির দরকার নাই। নিজেরা নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। এটা আমার কথা না আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।’
সমাবেশ শেষে একটি র্যালি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা আছে।