দূতাবাসগুলোর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দূতাবাসগুলোর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দূতাবাসের দেয়া বিবৃতি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ মারা গেলে তারা এভাবে বিবৃতি দেয় কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী। গতকাল বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার দপ্তরে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের অ্যাক্টিভিস্ট ডিপ্লোম্যাটদের সম্পর্কে আমি বলতে চাই, নিউইয়র্ক আমেরিকায় যখন তখন লোক মেরে ফেলে, তারা কি স্টেটমেন্ট দেয় কখনো? ইউএন কি কোনোদিন স্টেটমেন্ট দিয়েছে? বলেছে কি আমেরিকায় লোক মারা যায় কেন?’

ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি ছেলে ফয়সাল মারা গেল এতদিন হলো। তারা কি বলেছে, ইউএন কি বলেছে এ ছেলের মৃত্যুর ইনভেস্টিগেশন কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে কোনো স্টেটমেন্ট দিয়েছে?’

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না? প্রতিদিন কত লোক মারা যায় বিভিন্ন দেশে, তখন কেন তারা স্টেটমেন্ট দেয় না? আর বাংলাদেশ হলেই…, মগের মুল্লুক পাইছে ওরা। দ্যাটস নট অ্যাকসেপটেবল।’

হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটাও ইনভেস্টিগেট করে দেখতে হবে, কে মারিয়েছে। একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টির জন্য। হয়তো কেউ আমাদের আগামী নির্বাচন চায় না। এ নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু করেছে, ইউ নেভার নো। আপনাদের এটা ইনভেস্টিগেট করে খোঁজা উচিত।’

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকানরা আসছে। আমেরিকানরা আসছে কেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান। সেজন্য একের পর এক দল পাঠাচ্ছেন, যাতে এ সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করা যায়। আর আপনারা সেখানে শুধু সন্দেহ খোঁজেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা আলোচনা করেছেন কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়নকে সাহায্য করা যায়। আমার সঙ্গে ব্লিংকেন সাহেবের আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, কীভাবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শক্তিশালী করা যায়। অন্য কোনো আলাপ হয়নি।’।

জাতীয়