অবশেষে আজ সমাবেশ দুই দলের নয়াপল্টনে বিএনপি, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন, দুই পক্ষকেই ২৩ শর্তে অনুমতি পুলিশের

অবশেষে আজ সমাবেশ দুই দলের নয়াপল্টনে বিএনপি, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন, দুই পক্ষকেই ২৩ শর্তে অনুমতি পুলিশের

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতার পর ২৩ শর্তে উভয় দলকে এ কর্মসূচি পালন করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

আজ পূর্বনির্ধারিত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। প্রথমে শেরেবাংলানগর সাবেক বাণিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ করার কথা থাকলেও পাশেই বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তার কারণে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে কর্মসূচি স্থানান্তর করেছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি পূর্বনির্ধারিত নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তাদের মহাসমাবেশ করবে। ‘সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের’ এক দফা দাবিতে এ কর্মসূচি নিয়েছে দলটি।

গতকাল সচিবালয়ে দুপুরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, তারা যদি (সমাবেশ) করে আমরা দুই দলকেই শর্ত দিয়ে দেব; তারা কীভাবে করবে এবং কী করতে পারবে না। রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তবে তারা যেন নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলেন। দেশের আইন মেনে চলবেন, জনদুর্ভোগ যেন সৃষ্টি না করেন সেজন্য আমি আহ্বান রাখব। তারা যেন কোনোরকম ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হন। আসাদুজ্জামান খান বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি কিংবা জানমালের ক্ষতি কিংবা শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। দুই দলের জন্য একই নির্দেশনা থাকবে। এখন পর্যন্ত আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি। এসব পুলিশ কমিশনার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন।
পুলিশের অনুমতি : রাজধানীতে আজ সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন। বিএনপিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ২৩ শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আসন্ন আশুরা ও বড় দুটি দলের সমাবেশে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সন্দেহভাজন ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের আটক করা হচ্ছে, যা পুলিশের নিয়মিত অভিযানেরই অংশ।

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন : বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটেই আজ পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ শিরোনামে এ সমাবেশে ঢাকা মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ ছাড়া ঢাকা বিভাগের সবকটি জেলা-উপজেলা থেকে কয়েক লাখ নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। সমাবেশে জনস্রোত নামানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংগঠনের নেতারা। এ সমাবেশ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকার নির্দেশনা আসবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে গতকাল (বৃহস্পতিবার) শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল আওয়ামী লীগের এ তিন সংগঠন। তবে পুলিশ তাতে আপত্তি জানায় এবং অন্য কোনো মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশের অনুমোদন চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি। ফলে আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পূর্বঘোষিত এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সে এলাকায় আজ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার অনুমতি চান আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা। পুলিশও অনুমোদন দেয়। গতকাল বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়াও দুই সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, তিন সংগঠন ২৮ জুলাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে শান্তি সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি একটি দেশ ধ্বংসকারী, ষড়যন্ত্রকারী দল। বিএনপির দেখাদেখি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল কর্মসূচি দেবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না, দেশবাসীও বিশ্বাস করে না। তাদের অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমাদের এ কর্মসূচি। নিখিল বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে অনুসরণ করছি না, তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য মাঠে থাকছি না, আমরা মাঠে থাকছি বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।’ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির একটি প্রোগ্রাম রয়েছে। সেখানে সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন। সে কারণে এসএসএফ আমাদের পারমিশন দিচ্ছে না। এজন্য আমরা আমাদের নির্ধারিত স্থান বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটেই শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই আমাদের শান্তি সমাবেশ হবে। এতে লাখো নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে রাজপথে বিএনপিকে একা খেলতে দেওয়া হবে না। বিএনপির কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ। ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে থাকবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় পাহারা বসাবে আওয়ামী লীগ। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীর বাইরেও ঢাকার বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করতে চায় ক্ষমতাসীনরা। এজন্য টানা কয়েক দিন লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করেছে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। বিএনপির কর্মসূচি কেন্দ্র করে সরব থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা, জেলা এবং স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নয়াপল্টনে হবে বিএনপির মহাসমাবেশ : ‘সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের’ এক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। বাদ জুমা দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। সমাবেশের তারিখ এক দিন পেছানোর পর অবশেষে ২৩ শর্তে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন। আজকের মহাসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি ৪৮ ঘণ্টার ‘আল্টিমেটাম’ দিতে পারেন। তবে চূড়ান্ত কর্মসূচির বিষয়ে আজ সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আজকের মহাসমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসা শুরু করেছেন আরও আগে থেকেই। বুধবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন স্থানে হোটেল ও বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিলেও সন্ধ্যার আগে থেকে উৎসুক নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন এবং আধা ঘণ্টার মধ্যেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কের আশপাশ ভরে যায়। তাদের বেশির ভাগই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কেন্দ্রের নির্দেশনা পেয়ে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন।

সংবাদ সম্মেলন : গতকাল বিকালে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের মানুষের জানমাল, বিষয়সম্পত্তি আজ চরমভাবে বিপন্ন। এ অবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা আন্দোলনে আজ সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ। দলের পক্ষ থেকে ২৭ জুলাইয়ের কর্মসূচি পরিবর্তন করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মহাসমাবেশ সাফল্যমন্ডিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনাসহ শান্তিপূর্ণ এ মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন। বিলম্বে হলেও আমাদের এ মহাসমাবেশে পুলিশ কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

কর্মীদের কার্যালয়ে ঢুকতে পুলিশের বাধা : বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে সরে যেতে পুলিশি নির্দেশনার পর থেকে কার্যালয়ের ভিতরে নেতা-কর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতা এবং সাংবাদিক ছাড়া আর কাউকেই কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ সরিয়ে দিলেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের কড়াকড়ির কারণে কার্যালয়ের সামনে ও চারপাশ ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে গিয়ে অবস্থান নেন। বিকাল ৩টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের চলে যেতে নির্দেশনা দেন। বলেন, আগামীকাল সমাবেশ। আজ আপনাদের এখানে থাকার দরকার নেই। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দেন।

সমমনা দলের মহাসমাবেশের স্থান : যুগপৎ ধারায় ঘোষিত এক দফা তথা ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ বিএনপির মহাসমাবেশের পাশাপাশি আন্দোলনে শরিক সমমনা দলগুলোও রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী তারা যেসব স্থানে সমাবেশ করবে সেগুলো হলো-

গণতন্ত্র মঞ্চ : মৎস্য ভবনের সামনে বিকাল ৩টায়। গণ অধিকার পরিষদ : বিকাল ৩টায় ফকিরাপুলের কালভার্ট রোডে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। ১২-দলীয় জোট : বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে বিকাল ৩টায়। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট : পুরানা পল্টন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে বেলা ১১টায়। গণফোরাম ও পিপলস পার্টি : মতিঝিল নটর ডেম কলেজের উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বরে বিকাল ৩টায়। গণ অধিকার পরিষদ (রেজা) : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিকাল ৪টায়। এলডিপি : কারওয়ান বাজার এফডিসিসংলগ্ন এলডিপি অফিসের সামনে বিকাল ৩টায়। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। লেবার পার্টি : বিজয়নগর পানির ট্যাংকিসংলগ্ন সড়কে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে। এনডিএম : বিকাল ৩টায় মালিবাগ মোড় হোসাফ টাওয়ারসংলগ্ন সড়কের মোড়ে। জাতীয়তাবাদী সমমনা পেশাজীবী জোট : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টায়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ : শাহবাগ মোড় বিকাল ৪টায়। জাতীয়তাবাদী সমমনা পেশাজীবী জোট : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১০টায়।

মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট : সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় চেকপোস্ট দেখা গেছে। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির বিষয়ে ওসি বলেন, আমাদের কাউকে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করছি। তবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গত রাত থেকেই ঢাকাগামী লেনে তল্লাশি জোরদার করে পুলিশ। গতকাল রাত ৯টা থেকে স্থানটিতে এ তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়।

 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, শুক্রবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজধানীতে সমাবেশ রয়েছে। সমাবেশে কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তল্লাশি করা হচ্ছে।

রাজনীতি