বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জে ঋণ বিতরণ কমে গেছে। আগামীতে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে। ব্যাংকাররা মনে করছেন, বিনিয়োগের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি মে মাসে ১১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে জুনে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের নভেম্বরের পর জুনে ঋণের প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে তারল্য ঘাটতির কারণে জুনে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। বিভিন্ন কারণে গত কয়েক মাসে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। যেমন বাণিজ্যিক ব্যাংকে ডলারের ঘাটতির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি বাড়ানো, আমানতের সুদহার কম, ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক কেলেঙ্কারির আতঙ্কে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়েছেন। ফলে অনেক ব্যাংক নগদ টাকার সংকটে ভুগছে এবং প্রতিদিনের কার্যক্রমের জন্য নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অন্যান্য বড় ব্যাংকের কাছ থেকে ধারও নিতে হয়েছিল।বিস্তারিত