সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার কচুয়া দক্ষিণ পাড়া চাঁদেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূর স্বামী ওই রাতেই দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই রাতেই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই এলাকার হযরত আলীর ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৪), ফরহাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (৩০), হযরত মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া (২৬), গনি মিয়ার ছেলে আসিফ (২৩), আশরাফ আলীর ছেলে শফিক আহমেদ (২৫) এবং সমেশ আলীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী কচুয়া দক্ষিণ পাড়া চাঁদের হাট এলাকায় ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে কচুয়া হাজীর বাজার চৌরাস্তার এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন যুবক তাদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে ওই যুবকরা তাদের মারধর শুরু করে।
পরে গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী স্বামী বলেন, বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর আমার স্ত্রীকে নিয়ে চাঁদের হাট এলাকায় ঘুরতে তাই। সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন যুবক আমাদের ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেওয়ার পরও তারা আমাকে আটকে রেখে আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে।
আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তারা আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। তিনি এই বর্বরোচিত ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওই গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।