চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। রোববার বিবিএস’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, জুনে যা ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। কিন্তু, জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ থাকলেও জুলাইয়ে তা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে, জুলাইয়ে ননফুড পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ, জুনে যা ছিল ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের ওপর বেশি। জুলাইয়ে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপখাতে হয়েছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপখাতে হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে হয়েছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিকে সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দামে তার কোনো প্রভাব নেই। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।
বাজারে সস্তা মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কৈ মাছও সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ঠেকেছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ডিমের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। এক হালি ডিম কিনতে গেলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজিরও। ওদিকে মসলার দাম ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।