কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় সর্বমোট পাসের হার ২৮ শতাংশ।
গতকাল বুধবার রাতে ফল প্রকাশের পর কৃষি গুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা এসব তথ্য জানান।
উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা জানান, শিক্ষার্থীরা কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থার ওয়েবসাইটে (acas.edu.bd) পিন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করে ফল দেখতে পারবেন।
তিনি জানান, ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০। এবার কৃতকার্য হয়েছেন ২৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী৷ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণ ও কোটায় ৩ হাজার ৫৪৮টি আসনে মেধাতালিকা ও এর দ্বিগুণ পরিমাণ অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: একাদশে ভর্তির আবেদন যেভাবে
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের নিরলস প্রচেষ্টায় একদিন আগেই শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর প্রদান করা হয় এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হয়েছে। মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানপরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয়।
এর আগে ৫ আগস্ট আটটি কেন্দ্র ও তিনটি উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ৩ হাজার ৫৪৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৮১ হাজার ২১৯ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় বসেন ৬৫ হাজার ৪৫১ জন। উপস্থিতির হার ছিল ৮০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা পেছাচ্ছে না
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।