লোহাগাড়ায় বন্যায় ভেসে ৪ জনের মৃত্যু

লোহাগাড়ায় বন্যায় ভেসে ৪ জনের মৃত্যু

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

টানা বর্ষণের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার রুপ দেখেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়াবাসী। তবে বৃষ্টি কমে আসায় পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। বন্যার পানির স্রোতে ভেসে নিহত হয়েছেন চারজন।

বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারের অধিক ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মৎস প্রকল্প ও পুকুর। ভেঙ্গে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট।

বন্যার পানিতে ভেসে নিহতরা হলেন- বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপজেলার আমিরাবাদের জুনাইদুল ইসলাম জারিফ (২২) একই ইউনিয়ের চট্টলা পাড়ার কৃষক আসহাব উদ্দিন, জলিল নগরের শামসুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সাকিব (১৯) ও অটোচালক আবদুল মাবুদ (৫০)। তাদেরকে বিভিন্ন সময় পৃথক স্থান হতে উদ্ধার করে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেল কয়েক যুগেও এমন বন্যার রুপ দেখেনি এ উপজেলাবাসী। রেকর্ড বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। এদিকে অতিবর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা ডলু খাল, হাঙ্গর, টঙ্কাবতী ও হাতিয়ার খালের ভাঙনে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারের অধিক ঘরবাড়ি। কিছু কিছু এলাকায় তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, পুকুর, মৎস্য প্রকল্প ডুবে বের হয়ে গেছে মাছ। ফলে মৎস্য প্রকল্পের মালিকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কিছু এলাকা।

তিনদিন বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ ছিলো, তবে এখন চালু করা হয়েছে। একদিকে থৈ-থৈ পানি অপরদিকে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জ শেষ হয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ, ঘর থেকে বের হতে না পারা সবমিলিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছিল কিছু কিছু এলাকার মানুষ। তবে সবকিছু এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

এদিকে শুরু থেকেই বন্যা কবলিত মানুষকে সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আনতে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানির স্রোতে ভেসে বিভিন্ন সময় পৃথক স্থানে চারজন নিহত হয়েছেন।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ