বিএনপির মাঠ পর্যায়ের সক্রিয় নেতাদের মধ্যে চলছে গ্রেফতার আতঙ্ক। একদফা আন্দোলনে রাজপথে যারা মূল ভূমিকা পালন করছেন, তাদের টার্গেট করে নীরবে আটক করা হচ্ছে। বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৮ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে রয়েছেন। নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবার কৌশল পরিবর্তন করেছে বলে দাবি দলটির।
তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কঠোর সমালোচনার পর এমন কৌশল নিয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি যাতে সব মহলে আলোচনায় না আসে, সেজন্য সিনিয়র নেতাদের আপাতত আটক বা হয়রানি করা হচ্ছে না। প্রতিদিন মাঝারি বা নিচের সারির নেতারা গ্রেফতার হওয়ায় গণমাধ্যমেও তা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার বা প্রকাশ হচ্ছে না। ফলে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকেও পড়তে হচ্ছে না কোনো সমালোচনায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কৌশল সম্পর্কে মাঠের সক্রিয় নেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। একা না চলতে দেওয়া হয়েছে পরামর্শ। কর্মসূচির আগের রাতে নিজ বাসায় না থেকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। হাইকমান্ডের এমন নির্দেশ পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে তারা সতর্ক চলাফেরা শুরু করেছেন।
শুধু গ্রেফতার নয়, মামলা দেওয়ার ক্ষেত্রে কৌশল পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। অতীতে কোনো ঘটনা ঘটলেই দলের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে না থাকলেও অনেককেই আসামি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সেটা দেখা যাচ্ছে না। ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় রাজধানীর একাধিক থানায় এক ডজনের বেশি মামলায় পাঁচ শতাধিক আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু এসব মামলায় দলের সিনিয়র কিংবা মাঝারি সারির নেতাদের আসামি করা হয়নি। যদিও ওই কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে সিনিয়র অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন।বিস্তারিত