দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসা বোর্ডের সদস্য এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকিদাতা তাফসীরুল ইসলাম ছাত্রশিবিরের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাফসিরুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চিকিৎসককে হত্যার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ফেসবুকে ও মোবাইলে মেসেজ দিয়ে তিনি এই হুমকি দেন। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালান বলেও স্বীকার করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের খন্দকার আল মঈন বলেন, তাফসিরুল স্থানীয় একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করছেন। তিনি স্কুল জীবন থেকেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন সক্রিয় সদস্য। আইটিতে দক্ষ হওয়ায় অনলাইনে ই-মেইল মার্কেটিংয়ের কাজ করে মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আয় করতেন। তাফসিরুল ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দ্বারিয়াপুর, মহেশপুর#তাফসিরুল ইসলাম’ ও ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দ্বারিয়াপুর, মহেশপুর@তাফসিরুল ইসলাম’ নামে দুটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর চিকিৎসককে হত্যার হুমকিদাতা ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামান হত্যার হুমকি বিষয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-২ ও ৬ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে তাফসিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব এই কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য তিনি ডাক্তারকে হুমকি দেন। সাঈদী সাহেবের পরিবারও চিকিৎসায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। যারা এই চিকিৎসককে হেয় করে কথা বলছেন ও হুমকি দিচ্ছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ডাক্তারের নম্বর ছড়ানো হয়েছে। সেখান থেকে তার নম্বর সংগ্রহ করে তাফসিরুল ডাক্তারকে হুমকি দেন।
র্যাব বলছে, তাফসিরুলের বাবা রফিকুল ইসলাম রফি জামায়াতে ইসলামির সক্রিয় কর্মী। ২০১৩-১৪ সালে নাশকতা সৃষ্টির অপরাধে রফির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয় এবং তিনি কারাভোগ করেন।