ভয়ংকর হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকা। কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাটিতে উৎপাদিত হচ্ছে হেরোইনের অন্যতম উপাদান অপিয়াম। তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র। একই সঙ্গে এ জোন ব্যবহার করে মাদকের ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ সান স্টেট থেকে আসছে মরণনেশা ইয়াবা, যা ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ ও ভারতে। মাদক ও অস্ত্রের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠা ত্রিদেশীয় এ এলাকা দুর্গম এবং অপরাধের স্বর্গরাজ্য হওয়ায় এটিকে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে ‘ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গল’। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে বিশাল দুর্গম এলাকা রয়েছে। কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটারের বিশাল এ সীমান্ত এলাকায় বলতে গেলে কোনো দেশেরই কর্তৃত্ব নেই। তাই এ সুযোগে কিছু বিচ্ছিন্নবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে দুর্গম ওই এলাকাকে। এ এলাকায় অস্ত্র ও মাদক ব্যাপক হারে বেচাকেনা হচ্ছে।’
দেশের সীমান্ত এলাকার অপরাধ নিয়ে গবেষণা করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক হুমায়ন কবির খোন্দকার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ত্রিদেশীয় দুর্গম পাহাড়ি এলাকা এখন অস্ত্রের বাণিজ্যিক অপরাধের হাবে পরিণত হয়েছে। দুর্গম এলাকায় ব্যাপক হারে উৎপাদিত হচ্ছে হেরোইন। একই সঙ্গে সান স্টেট থেকে আসা মাদকের চালান দুর্গম এলাকা হয়েই ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে, যা আমাদের জন্য অশনিসংকেত।বিস্তারিত