দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মশা মারার নিম্নমানের কীটনাশক সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহক এডিস মশার লার্ভা নিধনে অকার্যকর কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি প্রয়োজনের চেয়ে কম কীটনাশক দিয়ে উড়ন্ত মশা মারার ফরমুলেশন তৈরিরও অভিযোগ রয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের আশীর্বাদপুষ্ট নিম্নমানের কীটনাশক সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের কারণে কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। খামারবাড়ীর উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) কয়েকজন কর্মকর্তাও সিন্ডিকেটে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এডিস মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক ‘ব্যাসিলাস থুরিংয়েইনসিস ইসরায়েলেনসিস’ (বিটিআই) আমদানি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে মার্শাল এগ্রোভেট কোম্পানি লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসিকে এই কীটনাশক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রো জানিয়েছিল, পাঁচ টন বিটিআই তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আমদানি করেছে। তবে সিঙ্গাপুরের ওই প্রতিষ্ঠান বলছে সেগুলো তাদের কাছ থেকে আনা হয়নি। এরপরই মার্শাল এগ্রোভেটের জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত প্রায় চার বছর ধরে ঢাকার দুই সিটির কীটনাশক সরবরাহের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে মার্শাল এগ্রোভেট। বিটিআই সরবরাহে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ার পর কোম্পানিটি আলোচনায় এলেও তাদের বিরুদ্ধে উড়ন্ত মশা মারার নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহেরও অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকার দুই সিটির সংশ্লিষ্টরা জানান, উড়ন্ত মশা মারার ওষুধের মূল উপাদান চীন ও ভারত থেকে আমদানি করে সিটি করপোরেশনগুলো ৫ শতাংশ আরএফইউ (রেডি ফর ইউজ) ফরমুলেশন তৈরির জন্য দরপত্র আহ্বান করে। অভিযোগ রয়েছে সিটি করপোরেশন ফরমুলেশন তৈরির জন্য মূল উপাদান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার পর তারা ৬০ শতাংশ মূল উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে সিটি করপোরেশনকে সরবরাহ করে। আর বাকি ৪০ শতাংশ মূল উপাদান বাইরে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ওষুধের মান ঠিক না থাকায় মশা ঠিকমতো মরে না। বিস্তারিত