দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ হচ্ছে ক্রিপটোকারেন্সির অবৈধ লেনদেনে। দেশে ক্রিপটোকারেন্সির কোনো বৈধতা না থাকলেও ১০ রকমের ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ‘ডার্ক ওয়েবে’ থাকা এই ‘ক্রিপটো ওয়ালেট’কেই অর্থ পাচারের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম মনে করেন কালো টাকার মালিকরা। ব্যবসার নানা কৌশলে অর্থ পাচার করে তা নিজের বাইন্যান্স ওয়ালেটে জমা রাখছেন। অন্যদিকে খোদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এখন ক্রিপটোকারেন্সিকে দেখছেন বিশ্বব্যাপী কর-রাজস্ব ব্যবস্থার জন্য এক বড় ভবিষ্যৎ হুমকি হিসেবে। সম্প্রতি আইএমএফের একটি পলিসি পেপারেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ক্রিপটোকারেন্সির লেনদেন অবৈধ।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ক্রিপটোকারেন্সিতে মুদ্রা পাচার হচ্ছে কি না বিষয়টি নিয়ে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট কাজ করছে। তবে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার পরও সচেতন হচ্ছে না। এটা সত্যিই দুঃখজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমটিএফই নামের প্রতিষ্ঠানটি দুবাই থেকে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এটা নিয়েও আমাদের কাজ চলছে।’ জানা গেছে, বিএনবি, বিটিসি, ইটিএইচ, আলপাইন, এক্সআরপি, আইএনজে, এলটিসি, টিআরএক্স, এসএফপি, এসএইচআইবির মতো ১০টি ক্রিপটোকারেন্সির দিকে বেশি ঝুঁকেছে দেশের কালো টাকার মালিকরা। তবে অনেকে লাইটকয়েন, পাইপেল, প্লাটিনকয়েন, ভিকে-টেলিগ্রাম, কয়েন মার্কেট কেপকে পছন্দের তালিকায় রাখছে। তারা হুন্ডি, ভুয়া এলসির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় অর্থ বিদেশে নিয়ে ই-ওয়ালেটে জমা রাখছে। আবার ডার্ক ওয়েব নজরদারির মতো দেশে সক্ষমতা না থাকায় ক্রিপটোকারেন্সিগুলোর ওপর নজরদারি করতে পারছে না সাইবার মনিটরিং প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বাইন্যান্স থেকে দেশের মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় হামেশাই অর্থ লেনদেন হচ্ছে। আর বর্তমানে দেশে লক্ষাধিক তরুণ-তরুণী তৃতীয় পক্ষ হয়ে মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে বাইন্যান্সিং করছে। বিনিময়ে পাচ্ছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন।বিস্তারিত