বৃহত্তর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত বিরতি শেষে স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে জোহানেসবার্গের ও. আর ট্যাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল রেডিসন ব্লু স্যান্ডটনে যাবেন। ব্রিকস এর সদস্যপদ প্রাপ্তি এবং সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথেও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করার কথা রয়েছে সরকার প্রধানের। প্রধানমন্ত্রী চীন ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বনেতাদের সাথে বৈঠক করবেন।
ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মূল সড়কগুলোতে ঝুলছে ব্রিকস এর প্রচারণা সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন।
ব্রিকসের এবারের সম্মেলনে আলোচিত হবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোসহ জোট সম্প্রসারণের বিষয়টি। বৈঠক থেকে কী ধরনের ফলাফল আসবে তা দেখার অপেক্ষায় পর্যবেক্ষকরা।
বিশের পাঁচ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসের ১৫তম সম্মেলন ঘিরে গোটা বিশ্বের নজর এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়।
২০১৯ সালের করোনা মহামারির পর এবারই প্রথম জোটের প্রতিনিধিরা সশরীরে হাজির হচ্ছেন এক মঞ্চে। জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ব্রিকসভুক্ত দেশ ছাড়াও যোগ দেবেন কয়েক ডজন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা।
এছাড়াও ব্রিকসের এবারের সম্মেলনে আলোচিত হবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোসহ জোট সম্প্রসারণের বিষয়টি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা জানিয়েছেন, ব্রিকস সম্প্রসারণে ইতিবাচক এবং খোলা মনে আলোচনা করতে আগ্রহী তারা। ভারত ব্রিকস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নয়। তবে সমস্ত ব্রিকস দেশকে সম্পূর্ণ ঐকমত্য থাকতে হবে যে তারা কীভাবে ব্রিকসকে সম্প্রসারিত করতে চায়, সেই সম্প্রসারণের পথনির্দেশক নীতিগুলি কী হওয়া উচিত।
এদিকে বৈঠক থেকে কী ধরনের ফলাফল আসবে সেই উচ্চ আশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন পর্যবেক্ষকরা। তারা বলছেন, সম্মেলনটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আমাদের বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখানে শুধু সদস্য দেশ নয় এবারের সম্মেলন অনেক দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বড় পথ দেখাতে পারে।
সম্মেলনে উন্নয়নশীল বিশ্বে আরও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র লাভের দিকে নজর দেবে রাশিয়া ও চীন। জোটটিকে কীভাবে একটি ভূ-রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করা যায় এবারের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা করবেন দেশগুলোর নেতারা। ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আলাদা সাইডলাইন বৈঠকেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে