কূটনৈতিক প্রতিবেদক
রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘আগস্ট ট্রাজেডিস: ওল্ড এনিমাস নোভেল ভেইল’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ কমিটির নেতৃত্বে শনিবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ২৫ দেশের কূটনীতিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ রচিত ‘আগস্ট ট্রাজেডিস: ওল্ড এনিমাস নোভেল ভেইল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
‘আগস্ট ট্রাজেডিস: ওল্ড এনিমাস নোভেল ভেইল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, কানাডা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, ভিয়েতনাম, কসোভো, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়াসহ ২৫ দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা পর্ব শেষে সকলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে নিরলস পরিশ্রম করছেন। আপনারা যদি হেলিকপ্টার, ট্রেন কিংবা রাস্তা দিয়ে যান, তাহলে কোনো কুড়ে ঘর দেখতে পাবেন না। লাল-সবুজের ঘর আপনাদের চোখে পড়বে। আজকের বাস্তব সত্য হলো, ঢাকার প্রাণকেন্দ্র তো বটেই ঢাকার বাইরেও ফকিরকে পান্তা ভাত খেতে দিলে তারা খেতে চায় না। বরং উল্টো ইংরেজি শোনায়, ‘আমার তো গ্যাস্ট্রিক, আমি পান্তা ভাত খেতে পারি না।’ আমি মনে করি, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া এটা আমরা শুনতে পারতাম না।
সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দায়িত্ব আমাদের সবার ওপরে ছিল, সেই কাজটি তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে নিয়ে সম্পাদনের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকি পরোয়া না করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্ন, বাংলার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. জমির এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া নূর লিপি। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শী বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রহমান শেখ রমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, আজকে এখানে ২৫টি দেশের ডিপ্লোম্যাট এসেছেন। আগস্টের তাদের একটা ছুটির মৌসুম থাকে, অনেক অ্যাম্বাসেডর, হাই কমিশনাররা ঢাকার বাইরে রয়েছেন। কিন্তু এখানে অনেকে তাদের দূতাবাসের প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন। দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধানরা এসেছেন, উপ-প্রধান বা উপ কাউন্সিলররাও এসেছেন। তাদের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে, বঙ্গবন্ধুর সন্তানদের নিয়ে ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হয় সেটা তুলে ধরা হয়েছে। তাদের যখন জানানো হয় তখন তারা আমাদের থেকেও বেশি শকড হয়ে যান। তারা বলেন, এতো নির্মম হত্যাকাণ্ড কেন চালানো হয়েছে, এমনকি গর্ভধারী নারীদেরও হত্যা করেছে।