দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। মূল দলগুলোও নিজেদের ছাত্রসংগঠনগুলোকে মাঠে নামতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে।
যদিও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, ছাত্রসংগঠনগুলো স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে থাকবে। কোনো দলের সহযোগী হওয়া যাবে না। কাগজে-কলমে এটা থাকলেও লেজুড়বৃত্তির সেই পুরনো চর্চার কারণে ছাত্ররাজনীতি এখনো জাতীয় রাজনীতির প্রাণ।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। অন্যদিকে রাজনীতির মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও নানা কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে দুটি দলের সমর্থক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। এ দুটি দলকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতির যে উত্তাপ তাতে যোগ হয়েছে তাদের ছাত্রসংগঠনগুলো; বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল যথাক্রমে নির্বাচন ও আন্দোলনমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে ক্যাম্পেইন, জোট গঠনসহ নানাভাবে আলোচনায় থাকছে ছাত্রসংগঠনগুলো।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বৈঠক করছেন। ছাত্রলীগকে মাঠ ধরে রাখতে ও নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় যেমন নেমে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তেমনি ছাত্রদলকেও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মাঠে থেকে সর্বোচ্চ আন্দোলন গড়ে তুলতে নির্দেশনা দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক সব কর্মকা-েই নিজ নিজ দলের ছাত্রসংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন ঘনিয়ে এলে রাজনৈতিক অঙ্গনের উত্তাপ ছাত্রসংগঠনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।বিস্তারিত