বিভিন্ন দেশে অভিযান পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার সুযোগ আতঙ্কে অর্থ পাচারকারীরা

বিভিন্ন দেশে অভিযান পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার সুযোগ আতঙ্কে অর্থ পাচারকারীরা

দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় এই অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সক্রিয় তৎপরতা চলছে। অভিযান শুরু করেছে সিঙ্গাপুর, কানাডা, কাতার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ শহরকেন্দ্রিক বিভিন্ন দেশ। এতে বেশকিছু সম্পদ ও অর্থ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। সূত্র বলছে, এর ফলে বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীরাও আতঙ্কে রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। কারণ, জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে সই করেছে বাংলাদেশ। ফলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে উদ্যোগ নিতে পারে। তবে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না থাকলে অর্থ ফেরত আনা কঠিন।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম রোববার যুগান্তরকে বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জন্য এটি একটি সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিত। যেসব দেশে পাচারের অর্থ ধরা পড়ছে, সেখানে বাংলাদেশের কারও অর্থ থাকলে ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোনো ফৌজদারি অপরাধ থাকলে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। তিনি বলেন, তবে টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি একটু কঠিন। কারণ, ওই দেশের আইনে কী আছে, সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে। আদালতের রায় ছাড়া কোনো দেশ টাকা ফেরত দিতে চায় না। কিন্তু সক্রিয় ভূমিকা নিলে ফেরত আনা অসম্ভব না। সবকিছুর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। এছাড়াও পাচার বন্ধে যেসব আইনকানুন রয়েছে, সেগুলো কাজে লাগাতে হবে।বিস্তারিত

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ সংবাদ