তারা সবাই শীর্ষ ধনী। শত শত বিলিয়ন ডলারের মালিক। বলা হয়ে থাকে, তাদের হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ। এই ধনীদের প্রায় সবাই সেলফ-মেইড। অর্থাৎ নিজের চেষ্টায় তারা বিপুল অর্থ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। কেউ কেউ উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ পেলেও তা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাম্রাজ্য গড়েছেন। এদের প্রত্যেকেই ব্যবসায়ী টাইকুন। শীর্ষ ধনীরা কে কোন ব্যবসা থেকে গড়লেন টাকার পাহাড়- সেসব নিয়ে আজকের রকমারি।
রকেট, স্যাটেলাইট ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক
প্রযুক্তিবিশ্ব কিংবা করপোরেট জগৎ- যাই বলা হোক, ইলন মাস্কের মতো প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। তারুণ্যের আদর্শ। এখন পর্যন্ত তিনি আটটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এগুলো হলো- টেসলা, স্পেসএক্স, হাইপারলুপ, ওপেন এআই, নিউরালিংক, দ্য বোরিং কোম্পানি, জিপ টু, পেপাল। কখনো টেসলা, কখনো বা স্পেসএক্স নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এই প্রযুক্তিবিদ। সবশেষ ছোট্ট টুইট-পাখিকে কিনে গোটা বিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দেন। যদিও মাইক্রোব্লগিং সংস্থা টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে ইলন মাস্কের অপর সংস্থা টেসলার শেয়ারে পতন হওয়া শুরু করে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিভাবান মাস্ক ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন প্রযুক্তির পোকা। কম্পিউটার কোডিং শিখেছেন নিজে নিজেই। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি ‘ব্লাস্টার’ নামে একটি ভিডিও গেম বানিয়েছিলেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার সময় জিপ টু নামের কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে সেটি বিক্রি করেন ৩০ কোটির বেশি ডলারে। এরপর অনলাইনে লেনদেনের জন্য এক্স ডটকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা পরবর্তী সময়ে পেপাল নামে পরিচিত হয়। ২০০২ সালে ১৫০ কোটি ডলারে সেই প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর একের পর এক প্রযুক্তি এনে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ সংস্থা টেসলা। তিনি এমন এক গাড়ি তৈরি করেছেন যাতে গ্যাসের দরকার পড়ে না, চালক না থাকলেও চলে। এক কথায়, গাড়ির জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। টেক্সাসভিত্তিক এই সংস্থা মূলত ইলেকট্রিক গাড়ি, সোলার প্যানেল, সোলার রুফ টাইলসহ বেশ কিছু পরিচ্ছন্ন শক্তি সংক্রান্ত পণ্য উদ্ভাবন করে। একই বছর প্রতিষ্ঠা করেন স্পেসএক্স। রকেট উৎক্ষেপণে এই প্রতিষ্ঠান যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এর বাইরেও হাইপারলুপ, ওপেন এআই, নিউরালিংক, দ্য বোরিং কোম্পানির মতো সংস্থাগুলোর সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মানুষের জীবনযাপনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।বিস্তারিত