জাতীয় নির্বাচন ও ভোট নিয়ে বাড়ছে নানা উদ্বেগ। এতে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তারা বাদ যাচ্ছেন না। আগামীর নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে ডিসিরা থাকবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে, যাদের জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে কি না সে বিষয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এর বাইরে বিভিন্ন দেশের চাপ রয়েছে নির্বাচন নিয়ে। সব মিলিয়ে ডিসিদের ঘাড়ে বাড়তি চাপ এই জাতীয় নির্বাচন। তবে মাঠ প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় এটি সামলে উঠবেন এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও অভিজ্ঞ সিনিয়রদের কাছে পূর্ব অভিজ্ঞতা জানতে অনেক ডিসি ফোন করে যোগাযোগও করছেন। সেই সঙ্গে খোঁজ রাখছেন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর।
সংবিধান অনুযায়ী চলতি বছর নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে ইসিকে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের অত জনবল না থাকায় জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়েই সেই কাজটি সারা হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে ২০১৮ আর এবারের নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য থাকবে বলে মনে করছেন মাঠ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দায়িত্ব পেয়ে খুশির চেয়ে বেশ চিন্তিত কেউ কেউ। কেউ এবারের দায়িত্বে অন্যবারের চেয়ে চাপ বেশি অনুভব করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিভাগের একটি জেলার এক ডিসি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সত্যি বলতে ডিসি হয়েছি এটা যেমন খুশির, তবে একটা চাপও অনুভব করছি। কী হতে যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে বুঝতে পারছি না এখনো। নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন মানব। তবে দেখুন, অবস্থাটা মাঠে কিন্তু আমাকেই সামলাতে হবে।’ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ডিসি বলেন, ‘ভোটের সময় আমরা বলির পাঁঠা বলতে পারেন। কষ্ট করে ঘুম হারাম করে কাজ করি। হেরে যাওয়া দল বলবে দালালি করেছে। আর ভোটে কোনো কেন্দ্রে একটু গণ্ডগোল হলে সব দলই নানা অভিযোগ তুলবে। মানসিক স্বস্তিটা কম অনুভব করছি, কাউকে বলতেও পারছি না। তবে এমনিতে কোনো সমস্যা নেই। বিস্তারিত