অবশেষে খুলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১১ কিলোমিটার বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট। ২ সেপ্টেম্বর শনিবার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। তবে বাকি অংশের (তেজগাঁও-কুতুবখালী) জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত। এ উড়ালপথে গাড়ি চলবে অন্তত ৮০ কিলোমিটার গতিতে। প্রকল্পের পুরোটা চালু হলে দিনে অন্তত ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে নির্বিঘ্নে। ২৪ কিলোমিটার উড়ালপথে থাকবে না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল। এতে বদলে যাবে ঢাকার দৃশ্যপট। যানজট কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এ প্রকল্প বলে মনে করেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি প্রকল্প যা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে (পিপিপি) বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য যানজট নিরসন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কুতুবখালী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে প্রবেশ করবে গাড়ি, এতে কমবে ভ্রমণের সময় ও খরচ।
জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর এ প্রকল্প উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর ওইদিন ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগ এক সুধীসমাবেশের আয়োজন করবে বলে জানা গেছে। এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-তেজগাঁও অংশের নির্মাণকাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা, রং ও ট্রাফিক মার্কিংয়ের কাজ চলছে। প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশ যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া বাকি অংশ তেজগাঁও-কুতুবখালীর কাজও এগিয়ে চলছে পুরোদমে। এ প্রকল্প চালু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে বলে মনে করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। যার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে।বিস্তারিত