জলবায়ু পরিবর্তনে আয়ুষ্কাল কমবে ১০০ কোটি মানুষের: গবেষণা

জলবায়ু পরিবর্তনে আয়ুষ্কাল কমবে ১০০ কোটি মানুষের: গবেষণা

মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রিতে গিয়ে ঠেকে, তাহলে আগামী শতাব্দীতে ১০০ কোটি মানুষের আয়ুষ্কাল কমে যাবে। এক গবেষণায় এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, তেল ও গ্যাসশিল্প প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। এর প্রভাব পড়ছে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনে। এসব মানুষের অধিকাংশই বাস করেন প্রত্যন্ত ও দরিদ্র অঞ্চলে।

এনার্জিস জার্নালে এ গবেষণা প্রকাশিত হয়। এতে কার্বন নির্গমন অবিলম্বে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম, এমন আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য মানবমৃত্যুর সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে কার্বন নিঃসরণমুক্ত করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সরকার, করপোরেট ও নাগরিক পর্যায়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে গবেষণায়।

গবেষণায় বলা হয়, তেল ও গ্যাসশিল্প প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। এর প্রভাব পড়ছে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনে। এসব মানুষের অধিকাংশই বাস করেন প্রত্যন্ত ও দরিদ্র অঞ্চলে।

পিয়ার রিভিউ (বিশেষজ্ঞ দ্বারা পর্যালোচনা) হওয়া এ গবেষণাপত্র অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতি ‘১০০০ টন কার্বন’ নিঃসরণের প্রভাবে, অর্থাৎ প্রতি ১০০০ টন জীবাশ্ম কার্বন পোড়ানোর কারণে ভবিষ্যতে একজন মানুষের আয়ুষ্কাল কমবে।

কানাডার ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোশুয়া পিয়ার্স বলেছেন, এই হারে জীবাশ্ম কার্বন পোড়াতে থাকলে সেটা পরবর্তী শতাব্দীতে ১০০ কোটি মানুষের আয়ুষ্কাল কমানোর সমান। অবশ্যই আমাদের কাজ করতে হবে এবং দ্রুতই সেটা করতে হবে।

আরও পড়ুন
বৈশ্বিক উষ্ণতা রেকর্ড ছাড়াবে
প্রচণ্ড রোদে ছাতা মাথায় রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। গতকাল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে

নীতিনির্ধারক ও শিল্প খাতের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর বিশ্বের নির্ভরতার পরিণতির কঠিন সত্যগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পিয়ার্স।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ুসংক্রান্ত গবেষণার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো যত স্পষ্ট হয়ে উঠছে, আমরা শিশুদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যে ক্ষতি করছি, সে জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে আমাদের কর্মকাণ্ডকে দায়ী করা যেতে পারে।’এনডিটিভি নয়াদিল্লি

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ