গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির নামে নতুন করে নিবন্ধন দেওয়া না হলেও গোপনে গোপনে বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রতারণামূলক এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে এরা বদল করেছে টার্গেট। রাজধানীতে কার্যক্রম না চালিয়ে একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা জেলার সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে নীরবে নিভৃতে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। জাতীয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে সক্ষম হচ্ছে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলো।
সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। এসব কোম্পানির অনিয়ম তুলে ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএলএম আইন ২০১৩ এবং সমবায় সমিতি আইন ২০০১-এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে কয়েকটি কোম্পানি। এসব কোম্পানি বন্ধ করতে না পারলে সাধারণ মানুষ পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হতে পারে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
অভিযুক্ত কোম্পানিগুলো মূলত মফস্বলের সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে নীরবে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের না আছে কোনো লাইসেন্স না কোনো নিবন্ধন। সারা দেশে এ ধরনের ১০টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা, যার মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানই জালিয়াতিতে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে নানা অনিয়ম দেখা গেছে।বিস্তারিত