বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট। রাজধানীর ব্যস্ততম এ সড়কটুকু পাড়ি দিতে এতদিন যানজটে আটকে থাকতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অবশেষে সেই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঢাকাবাসী। আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ। ফলে ১১.৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১১ মিনিট।
গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শেরেবাংলানগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানস্থল ঘুরতে এসে এসব তথ্য জানান। সেতুমন্ত্রী বলেন, কাল রবিবার সকাল ৬টা থেকে এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর ও ফার্মগেট প্রান্ত যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। কাওলার থেকে ফার্মগেট-তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত যেতে লাগবে ১০-১১ মিনিট। রাজধানীবাসী অবশ্যই এর সুফল পাবে। এর সঙ্গে যখন মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে যাবে, তখন সুফল অনেক বেড়ে যাবে এবং ঢাকা আরও আধুনিক শহরে রূপ নেবে। যান চলাচল আরও সহজ হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৬৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। উদ্বোধনের জন্য যেটুকু অংশ বাকি আছে সেখানেও অনেক কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা চালু করতে পারব। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গন্তব্য এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মগবাজার, মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলার থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের মূল লাইনের দৈর্ঘ্য ১১.৫ কিলোমিটার এবং র্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। কাওলার থেকে ফার্মগেট অংশে ওঠানামার জন্য মোট র্যাম্পের সংখ্যা ১৫। এয়ারপোর্ট অংশে দুটি, কুড়িল অংশে তিনটি, বনানী অংশে চারটি, মহাখালী অংশে তিনটি, বিজয় সরণি অংশে দুটি ও ফার্মগেটে একটি। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।বিস্তারিত