বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় নেতারা আওয়ামী লীগ জুলুম করে টিকে থাকতে পারবে না

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় নেতারা আওয়ামী লীগ জুলুম করে টিকে থাকতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, কোনো স্বৈরাচার জুলুম করে টিকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না। আটকাতে পারবে না গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ বলে ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাকি একজন সৈনিক ছিলেন’। তিনি কিন্তু এ দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র, দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) দাবি করে, তারা নাকি গণতন্ত্র দিয়েছে, সেটা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির জন্য বিএনপি গঠন করেছিলেন। দেশকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। আজ তাকে অসম্মান করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘হস্তক্ষেপমুক্ত না হলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না’। যাওয়ার সময় একথা বলে লাভ কী? প্রতিটি অপকর্মের এ দেশে বিচার হবে। সভার আগে নানা রঙের গেঞ্জি গায়ে, টুপি মাথায় দিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার নয়াপল্টন থেকে শোভাযাত্রা করেন। দুপুর থেকেই কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমবেত হন। অনেকে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ ঢাকঢোল পিটিয়ে এবং রংবেরঙের ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে শোভাযাত্রায় আসেন। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, আর দলীয় পতাকায় ছেয়ে যায় নয়াপল্টন। শোভাযাত্রাটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল মোড়-নটর ডেম কলেজ, মতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। বিএনপির শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফকিরাপুল, নাইটিঙ্গেল মোড় ও কাকরাইল এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টন ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিতে বাদ জুমা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। ঢাকার দুই সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। তারা জিয়াউর রহমান স্মরণে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন।

জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা : বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে দলটি। সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে দলটির নেতারা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রয়াত নেতার রুহের মাগফিরাতে বিশেষ মোনাজাত করেন তারা। এদিকে, বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ