আন্দোলন নিয়ে শীর্ষ নেতাকে যে পরামর্শ দিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা

আন্দোলন নিয়ে শীর্ষ নেতাকে যে পরামর্শ দিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে দলের শীর্ষ নেতাকে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। গতকাল রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিবদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই মত দেন নেতারা।

বৈঠক সূত্র জানায়, নেতাদের প্রায় সবাই আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝির মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের শক্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আন্দোলন শেষ করতে হবে।

গত ২৮ আগস্ট দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলমান আন্দোলন ইস্যুতে কর্মকৌশল ঠিক করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং যুগ্ম মহাসচিবদের মতামত নিতেই এই বৈঠক হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৈঠক শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, বৈঠকে কয়েকজন নেতা বলেছেন, গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি সফল না হওয়ার পেছনে সমন্বয়হীনতা ছিল।

ঢাকা মহানগরীর কর্মসূচিতে আশপাশের জেলা অংশ নিতে পারে। কিন্তু দূরের জেলার কাছে ঢাকার নেতাদের মতো কর্মদক্ষতা আশা করা ঠিক হয়নি।
চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে পুলিশ স্টেশন, আদালত, সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ, ঢাকা ঘেরাওয়ের কর্মসূচির পক্ষে নিজের মতামত তুলে ধরেন।

নেতারা আরো বলেন, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে তিনজন নেতা তাঁদের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, যেভাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলায় আদালত যেভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছেন, এর প্রতিবাদে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দিতে হবে। তবে দুই নেতা বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ চলমান আন্দোলন ঠিক পথে আছে। এই আন্দোলন অব্যাহত রেখে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলার সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থায় হটকারী কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না।

শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়; আন্দোলন সফল করতে সারা দেশ নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণে মতামত দেন।
একজন নেতা বলেন, গত ২৯ জুলাই আন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল। এখন চূড়ান্ত ধাপে যেতে হবে। এই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া পুনর্গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য মতামত দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে জানানো হয়, আজকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ