বিএনপির প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ লাখ সদস্যের ২৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেই রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। দলটির সক্রিয় নেতা ও সংগঠকরা কয়েক ডজন এমনকি শত শত মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীকে আন্দোলনের চেয়ে আদালতে হাজিরা ও মামলা চালানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থককে বিচারকের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তবে বেশির ভাগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্পষ্ট ও দুর্বল।
সম্প্রতি বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরবকে রাজধানীর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হয়। তার নামে ৩১৭ থেকে ৩৯৪টি মামলা রয়েছে। তিনি ও তার আইনজীবীরা মামলার সঠিক সংখ্যা বলতে পারছেন না। বিএনপি নেতাদের দাবি, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রায় ৮০০ নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং ৪০০ জন গুম হয়েছেন।
কিছুদিন আগে রাজধানীতে একটি সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং আটক দলীয় রাজনীতিকদের মুক্তির দাবি করে।
একই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকেও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে নেতারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করেন। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, মামলার আসামিরা মাসের পর মাস জেলে থাকেন, সেখানে নানা হয়রানির শিকার হন। আইনজীবীদের মতে, রাজনৈতিক মামলায় জামিন পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।