এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে সংসদে বিল

এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে সংসদে বিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলের বিধান অনুযায়ী, আগামী দিনে জন্মের পর একটি স্বতন্ত্র আইডি নাম্বার পাবে দেশের সব নাগরিক। এসংক্রান্ত কাজের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে একটি পৃথক ‘নিবন্ধকের কার্যালয়’ স্থাপন এবং পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বিলে এনআইডিসংক্রান্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্রে নিতে সংসদে বিলগতকাল সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২৩’ নামের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।

বিরোধীদলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ১২ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, একজন নাগরিককে নিবন্ধকের মাধ্যমে কেবল একটি জাতীয় পরিচিতি নম্বর দেওয়া যাবে, যা ওই নাগরিকের একক পরিচিতি নম্বর হিসেবে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে। এর অধীনে প্রদত্ত জাতীয় পরিচিতি নম্বরের ভিত্তিতে একজন নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় তথ্যসংবলিত একটি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন রেজিস্টার থাকবে।

বিলে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাতীয় পরিচিতি নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একজন নিবন্ধক থাকবেন। নিবন্ধক সরকারের নিযুক্ত হবেন এবং তাঁর চাকরির শর্তাদি সরকার ঠিক করবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য-উপাত্ত সংশোধনের প্রয়োজন হলে নাগরিকের আবেদনের ভিত্তিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে নিবন্ধকের মাধ্যমে তা সংশোধন করা যাবে।

বিলে অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া কোনো নাগরিক জ্ঞাতসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং ওই অপরাধের জন্য এক বছর কারাদণ্ড, অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ