এক-দেড় মাসের মধ্যেই আমাকে কারাগারে যেতে হতে পারে: ফখরুল

এক-দেড় মাসের মধ্যেই আমাকে কারাগারে যেতে হতে পারে: ফখরুল

আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে কারাবরণ করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ধরণা, এক-দেড় মাসের মধ্যেই আমানের মতো আমাকেও কারাগারে যেতে হতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, ‘তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা।’ সরকার তাদের সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।”

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুন বগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ‘নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতারা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচন যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।’

দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গিয়ে দেখুন, কীভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়, কত সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা আবার নিম্ন আদালতে আটকে দেয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় একটি সেল তৈরি করেছে, সেখানে অতিদ্রুত রায় ঘোষণা করে সাজা দেয়া যায়। যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে তাদের সবাইকে এক কাতারে শামিল হয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে।’

দেশে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ দুর্ভাগ্য আমাদের, ১৯৭১ ও ৯০ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আজ সেই গণতন্ত্রের কথাই বলতে হচ্ছে। দেখতে হচ্ছে দেশ থেকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে দেয়া হয়েছে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ