জনসংখ্যা ও শিল্পায়ন বৃদ্ধিতে কমছে আবাদি জমি। বাড়ছে জমির চাহিদা ও দাম। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদনদী, খাল দখল। ভরাট করে খোদ নদী প্লট করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। দোকান তুলে আদায় করা হচ্ছে ভাড়া। কেউ নদী ভরাট করে তুলছেন অট্টালিকা। কোথাও বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত নদী দখল করে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা। ফলে দেশের ধমনি হিসেবে পরিচিত নদীগুলোর মৃত্যু ঠেকানোই যাচ্ছে না। এরই মধ্যে দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ৫ শতাধিক নদনদী। এতে আগ্রাসি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। সেচ সংকটে ঝুঁকির মুখে কৃষি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ‘নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে’- এই বক্তব্য সামনে রেখে নদী উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় ২০১৯ সালে জোরেশোরে শুরু হয় নদী উদ্ধার অভিযান। পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে অভিযানের গতি কমে যায়। বর্তমানে একদিকে চলছে ঢিমেতালে উদ্ধার অভিযান, অন্যদিকে চলছে পুনর্দখল। উদ্ধার-পুনর্দখলের খেলায় গত চার বছরে শুধু রাজধানী ঘিরে থাকা তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী চারটি উদ্ধার সম্পন্ন করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা জরিপ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে ১ হাজার ২৭৪টি নদীর হদিস পেয়েছি। নদীগুলোর নামসহ তালিকাও প্রকাশ করেছি। নদী রক্ষা কমিশন গত মাসে ৯০৭টি নদীর খসড়া হিসাব প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ ৩৬৭টি নদীর খোঁজই মেলেনি। যেসব নদীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলোর বড় অংশই এখন মৃত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে নদী দখল থামবে না। তিনি বলেন, নদী রক্ষা কমিশন ২০১৮ সালে ৫৭ হাজার নদী দখলদারের তালিকা করার পর নদী উদ্ধারে কিছু পদক্ষেপ দেখেছি। কিছুদিন পরই তা থেমে যায়। আমরা বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করে দেখেছি, তালিকা প্রকাশের পর নদী দখলের হার আরও বেড়েছে। ফলে দখলদারদের তালিকাটিও এখন আংশিক।বিস্তারিত