জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
সৌদির যুবরাজ, আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা
ভারতে গতকাল শেষ হলো বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ সম্মেলন। বাংলাদেশ জি-২০ নামের আন্তর্জাতিক এই ক্লাবের সদস্য না হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে শেখ হাসিনা দুটি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এবং সম্মেলনের ফাঁকে তিনি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক ছিল সবার দৃষ্টিতে। আর মাত্র ক’মাস পরই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের পূর্বে শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠক প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি চিত্রও ফুটে উঠেছে। একইসঙ্গে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টিও দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়াও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সেলফি প্রকাশ হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে হোয়াইট হাউসের সম্পর্কও অনুমেয় হয়েছে। বাইডেনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সেলফি নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূল নেতাদের মধ্যেও এক ধরনের উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা চারটি সুপারিশ করেছেন। এছাড়া সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরও করেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বনেতাদের সম্পর্ক গভীর, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক খুবই সন্তোষজনক : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জি-২০ সম্মেলনে সরকার ছাড়াও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ উপকৃত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের সঙ্গে একান্তভাবে বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছেন। যেসব দেশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সরকারের সম্পর্ক ভালো নয়— এমন দৃষ্টিভঙ্গিও কাটিয়ে উঠেছে সরকার। অর্থাৎ, জি-২০ সম্মেলন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক সরকার ও তার দলের সঙ্গে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। গত ৮ আগস্ট নিজের বাসভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে দুই দেশের জন্যই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি জানান, শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার তিন দিনের সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সেখানে পৌঁছানোর পর পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই রীতি ভেঙে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক শেষে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্ব টুইটার) বাংলায় বৈঠক বিষয়ে লেখেন মোদি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।’
তারপরই তিনি উল্লেখ করেন কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’ মোদির এই পোস্ট নিয়ে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, তিনি (মোদি) আসলে বোঝাতে চেয়েছেন তার মেয়াদকালেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, অগ্রগতি পেয়েছে। সেটা বোঝাতেই চেয়ে গত ৯ বছরের কথা উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
ওয়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্ক গভীর ও দৃঢ় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ চ্যাট ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে গভীর সুসম্পর্ককে চিহ্নিত করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত শনিবার রাতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন ব্যস্ততার বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘তার (বাইডেন) বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সব ইচ্ছা রয়েছে।’
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মোমেন বলেন, বাইডেন এর আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার একটি খুব সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী ৫০ বছরে এটি আরও শক্তিশালী ও দৃঢ় হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এর নমুনা দেখছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘এটি (অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নৈশভোজসহ দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে বাইডেন, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং সায়মা ওয়াজেদের মধ্যে আলোচনা) প্রমাণ করে যে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের গভীর ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী করব।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে খুবই আগ্রহী। এজন্য তারা তাদের লোক পাঠাচ্ছে এবং আলোচনা করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (আমেরিকান সরকার) আমাদের ওপর কোনো চাপ দিচ্ছে না বরং মিডিয়া অতিরঞ্জিত করছে।’
প্রধানমন্ত্রীর চার সুপারিশ : ভারতের নয়াদিল্লিতে সমাপ্ত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চার দফা সুপারিশ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার সম্মেলনের প্রথম দিনে দেয়া ভাষণে তিনি সুপারিশগুলো তুলে ধরেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপান কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন শেখ হাসিনা। সম্মেলনে ‘ওয়ান আর্থ’ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সুপারিশের প্রথম পয়েন্টে বলেছেন, ‘এখানে জি-২০ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় কার্যকর সুপারিশ তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
দ্বিতীয় পয়েন্টে তিনি বলেন, ‘মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাহসী, দৃঢ় ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’ তৃতীয়ত, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের ত্রয়ীকার সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবিলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’ চতুর্থ পয়েন্টে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসন্ন কপ-২৮-এ আমি সবাইকে জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে ক্ষতি ও ক্ষতির জন্য তহবিল বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
২০২২ সালে গঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেখ হাসিনা উল্লিখিত সুপারিশগুলো করেন।
জি-২০ কী এবং কারা : জি-২০ বা গ্রুপ অব টোয়েন্টি হচ্ছে কতগুলো দেশের একটি ক্লাব, যারা বিশ্বঅর্থনীতির বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য আলোচনা করতে বৈঠক করে। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর আওতায় বিশ্বঅর্থনীতির ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্ববাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণও রয়েছে এসব দেশে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও ১৯টি দেশ। এসব দেশ হচ্ছে : আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। স্পেন সব সময়ই অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ পায়। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি দেশ মিলে আবার জি-৭ গঠন করেছে। জি-২০ ভুক্ত কয়েকটি দেশ যেমন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে ‘ব্রিকস’ নামে আরেকটি সংগঠন তৈরি করেছে। এ সংগঠনটি আরও সম্প্রসারিত হওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষ সম্মেলনে তারা নতুন ছয়টি দেশহ্বে জানিয়েছে। এগুলো হচ্ছে : আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে গতকাল বিকালে নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বেলা ৩টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে নয়াদিল্লির স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ০৮ মিনিটে (আইএসটি) ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে। গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। সেদিনই বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারক তিনটি হলো : কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদন সহজীকরণ। জি-২০ সম্মেলনে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যৎ’ বিষয়ে পৃথক দুটি ভাষণ দেন। ‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশন চলাকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা তুলে ধরেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন। ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষদিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সম্মেলনের শেষদিনে ‘জি-২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হয়। এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং এ সভাপতিত্বের মেয়াদে ভারত বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশকে সব জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। দেশগুলো হলো : বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।