কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে আসছে অক্টোবরে। কিন্তু বিদ্যমান সড়কগুলো দিয়ে বাড়তি যানবাহন চলাচলে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অক্টোবরেই খুলে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ঢাকার পর চট্টগ্রামও প্রবেশ করবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুগে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয়।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। প্রায় শেষ হয়েছে ঢালাইয়ের কাজ। নির্মিত হয়েছে ৩৮৯টি পিলার এবং বসানো হয়েছে ৩৮৯টি গার্ডার। অক্টোবরে চালুর লক্ষ্য নিয়ে রাতদিন চলছে কাজ। এটি চালু হলে সুফল মিলবে বঙ্গবন্ধু টানেলের। কমবে যানজটের ভোগান্তি। নিরাপত্তা, নজরদারি, দুর্ঘটনা ও অপরাধ পর্যবেক্ষণে বসানো হচ্ছে ২০০ সিসি ক্যামেরা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকায় পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বাস্তবায়ন করছে। এটিই নগরের প্রধান সড়ক। তবে চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন অংশে ওঠানামার জন্য ১৪টি র্যাম্প নির্মাণের কথা। সেগুলো এখনো নির্মাণ হয়নি। ফলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর যানজট কতটুকু কমবে তা নিয়েও চলছে আলোচনা। সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বিমানবন্দরে যাতায়াকারীরা।বিস্তারিত