সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ কর্মসূচি আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। মাঝে ২০ সেপ্টেম্বর, ২৪ সেপ্টেম্বর ও ২৮ সেপ্টেম্বর কোনো কর্মসূচি দেয়নি দলটি।
কর্মসূচির মধ্যে রোড মার্চ এবং সমাবেশ রয়েছে।
এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখে আটটি সমাবেশ করবে তারা।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এটি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের বিএনপির সপ্তম কর্মসূচি ঘোষণা।
কর্মসূচির মধ্যে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা জেলার জিনজিরা/কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ হবে।
২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোড মার্চ। পরদিন (২২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালী রোড মার্চ করবে বিএনপি। ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে নয়াবাজার ও ঢাকা জেলা আমিনবাজারে সমাবেশ, পরদিন খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চ এবং ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন করবে দলটি।
২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ঢাকা মহানগর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বিএনপি জনসমাবেশ করবে। ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, পরদিন ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন।
অক্টোবরের প্রথম দিনে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রোড মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ, পরদিন কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম রোড মার্চ করবে বিএনপি।
একই সঙ্গে আইনজীবীদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং আন্দোলনরত সব দল সমর্থন জানাবে বলে জানানো হয়েছে।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।