চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাড়। এখান থেকে চাক্তাই খালের মুখ পর্যন্ত বিশাল অংশ। এ অংশে অবৈধভাবে তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা। কেউ নিজে তৈরি করে, কেউ ভাড়া নিয়ে, কেউ ছোট টঙের দোকান নির্মাণ করে নদীর বুকের ওপরই হয়েছে বাণিজ্যিক ও বসতি স্থাপনা। নদীর বুকেই তৈরি করা হয়েছে বাস-ট্রাকের স্টেশন, বিশাল মাছের আড়ত ও মসজিদ।
সরেজমিন দেখা যায়, নদী দখল করে নির্মিত হয়েছে বস্তি। এখানে তৈরি করা ছোট ছোট রুমগুলো দেওয়া হয়েছে ভাড়া। রীতিমতো সেখানে চলে টিকা কর্মসূচিও। নদীর তীরেই আছে শত শত ঘর ও দোকান। এখানেই আছে ‘আইনগত নোটিস’ নামে পাঁচ সাইন বোর্ড। তারপরও প্রতিনিয়তই নির্মিত হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। অবস্থা দেখে মনে হয়, কর্ণফুলী নদী দেখার কেউ নেই। এটি একটি অভিভাবকহীন নদী। নদীর বুক চিড়েই গড়ে উঠেছে বিশাল আয়তনের মাছের আড়ত। নির্মিত হয়েছে সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতি, ভেড়া মার্কেট শ্রমজীবী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড, মৎস্য শ্রমিক লীগ, চট্টগ্রাম ট্রাক-বাস মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নামেও। তবে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো উদ্যোগ নেই। জানা যায়, ২০১৫ সালে আদালতের নির্দেশনা মতে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করে। এ ছাড়া, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনও কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের ২ হাজার ৪৯২টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করে। তবে তা এখনো প্রকাশ করেনি। নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় মহানগর অংশে আছে ৪৯৮টি। এর মধ্যে আছে ডকইয়ার্ড, বস্তিবাড়ি, দোকান, জেটি, বন্দর, বহুতল ভবন, তেল পরিশোধন কেন্দ্র, তেল ডিপো, সিমেন্ট কারখানা, কোল্ড স্টোরেজ।বিস্তারিত